তোমার প্রথম চাওয়া ছিল
সুন্দর শান্ত এক পশলা বৃষ্টির মতো।
এই দারুন দহন উষ্ণতায়
মনে মনে ভাবলেই আমি ভিজতে থাকি
অঝোর শ্রাবণ ধারায়।


ঘন তৃষ্ণায় যখন আমি একটা চাতক পাখী
ফাগুনের এই আগুন বাতাসে
উড়িয়েছিলে তোমার শীতল স্নিগ্ধ আঁচল।
বটের ঝুরির ছায়া ছিল একরাশ কালো চুল
ঠোঁটের স্পর্শে সব তৃষ্ণা মিটিয়ে দিয়ে গেলে।


সারা শরীর আগুন হাওয়ায় পুড়ছি শুধু পুড়ছি
এদিক ওদিক হন্নে হয়ে তোমায় খুঁজে মরছি
তুমি তখন উত্তর হতে আসা তন্বী তটিনী
দারুন গহীন স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে গেলে
তখন আমার কিইবা করার ছিল।


জোনাকির সাথে আমি রাত্রি জাগছি
বিদ্রুপ করে দূর আকাশের একাদশীর চাঁদ
একরাশ জুঁইগন্ধ ছড়ানো ছিল তোমার গোপন ঘরে
তাই বেহাগে সুরে ঘুমের আবেশ এসে গেল।
মনে হোল তুমি যেন চাঁদের দেশের মানুষ।




তোমার এই কবিতা যত।


ভাল থাকবেন । রক্তিম শুভেচ্ছা ,।