অধীর অপেক্ষায় আছি এই বুঝি সে এলো
ফুলকলি সব ঘুমিয়ে কেন?
এবার দুচোখ মেলো।
তার যে আবার দারোগা দৃষ্টি,
পছন্দ করেনা এসব এলোমেলো।
একেবারে ধোপদুরস্ত নিপাট ভদ্রলোক।
উঠান জুড়ে পড়ে আছে শুকনো হলুদ পাতা
এলোমেলো আলুথালু বাসি বস্ত্রে হাজার খুঁত।
ফুলদানীর ফুলের দশা দেখে মূর্ছিত হতে পারে!
জামদানীতে আমদানি চোরকাঁটার উপদ্রব,
সহ্য করতে পারবেন না।
পাতকুয়ায় ধুলোর আস্তরন মুখ দেখা যায়না।
রাতের বাসনে মাছিদের মহামিছিল।
সে বুঝে যাবে তাঁকে ছাড়ায় হয়েছে মহাভোজ।


পিছনে হাত রেখে ঘন ঘন পায়চারীতে
বুঝিয়ে দেবে অবিমৃষ্যকারী কে বা কারা?
তারপরেই তিনি ভাঙতে থাকবেন,
পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যের মতন টুকরো হয়ে।
তবে মান ভাঙ্গাতে পারলে মাখন হতে পারেন।
হাজার তারার রাতের জলসায়
রাতপরীদের ঠুমরী গজল বিলম্বিত দ্রুতে
দিব্যি তর্জনী দুলিয়ে তাল ঠুকতে পারেন।
লালপানির টুং টাং নেশায় বুঁদ হতে পারেন।
তখন তিনি টলমলে বেমালুম এলোমেলো।