উঠানেই ছিল আকাশের তারার মতন
গাঢ় সবুজে সাদা সাদা টগর চোখ ফেরান যায়না।
এগিয়ে যেতেই জ্যোৎস্না ছড়িয়ে সে বলে উঠলো
জানো কি আজ বসন্ত।


শনি মন্দিরের পাশেই অযত্নেই এক শিশু পলাশ
চকচকে কচি পাতায় আলো মেখে বাতাসে দোলে;
এগিয়ে যেতেই এক কিশোর কণ্ঠে শুনি -যাচ্ছ যাও
আগামী বসন্তে ফুল ফোটাবো এসো কিন্তু।
যদি এসেছে আজ বসন্ত।


উঁচু পাঁচিলের উপর থেকে নিজেকে চিনিয়ে দেয়
থরে থরে ফুটে আছে ফুটন্ত সোনা, মাটি ছুঁতে চায়।
জানো কি, চেনো কি, আমি সেই সোনাঝুরি;
দুচোখ ভরে দেখো,বসন্ত-বিহারে গান গাও
ফাগুনের আগুন রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নাও।
আজ যে এসেছে রঙিন বসন্ত।


পথের বাঁকে খালের ধারে একলা দাঁড়িয়ে রুদ্রপলাশ
অবাক হয়ে চেয়ে দেখি, সুঠাম সুপুরুষ আকাশ আছে।
অসীম সাহস বুকে মুকুটের মতো ফোটায় আগুন ফুল
মুমূর্ষু পথভ্রষ্ট যে কেউ দেখলেই আশ্বস্ত হবে;
জানবে তার সাথে বন্ধুর মত, রুদ্রপলাশ আছে।