তাওতো বল্লেনা, আরও কিছু বাকি রয়ে গেল।
ভিক্টোরিয়ায় জোনাকি জ্বলা কুয়াশা মোড়া চাদরে,
অস্ফুট স্বরের আলো অন্ধকারে।
মুখোমুখি বসে আরব্য রজনীর অনাবিল গল্পে,
আমরা জাহাজ কেনা বেচা করতাম।
জানিনা কোন আগ্রহ নিয়ে ঠিক তখুনি
ভিক্টোরিয়ার পরী নেমে আসতো।
নীরবে পাশে বসে থাকত  
রাজ্যের তৃষা ছিল যেন তাঁর মুখমণ্ডলে।


একদিন সেদিন আকাশে চাঁদ ওঠেনি
তুমি আমি ময়দান পার হয়ে যাচ্ছি ।
হাতের আঙুলে আঙুল রেখে
তুমি খোলা গলায় গান গায়ছিলে;
যার গানে তুমি অবলীলায় আকাশ ছুঁয়ে ফেলো।
মাঝ ময়দানে আকাশ থেকে তারা খসে পড়ল;
তাই দেখে তুমি দুচোখ বুজে ফেলে,
কি যেন বলতে শুরু করলে...এক নাগাড়ে;
আশে পাশে তখন কেউ ছিলনা...
কমলা ঠোঁটের তীব্র আকর্ষণ এড়াতে পারলাম না।
ঠিক তখুনি ফেরিওয়ালা হেঁকে উঠল
-হাতে গরম চিনে বাদাম আছে... লাগলে বলবেন?


প্রিন্সেপঘাটের নৌকার মাঝি হেসে বলেছিল,
দেখবেন মাঝগঙ্গা থেকে সূর্যাস্ত
আর ব্যস্ত শহরে রাত্রি নেমে আসা... দুইই একসাথে।
তীব্র কৌতূহলে চলে গেলাম এক্কেবারে মাঝগঙ্গায়।
তোমার মৃদু আপত্তি ছিল -সময়মত ফিরতে পারব?
গঙ্গার জোয়ারে সে সাবধানতা হারিয়ে গেল।
সেদিন সত্যিই আমরা ফিরতে পারিনি... ঘরে
ঘরে ফিরব বললেইতো আর ঘরে ফেরা যায়না
দুজনেই যে ঠিকানা হারিয়ে ফেলেছি,
শুধু, শহীদ মিনার জানতো আমাদের সেই গোপন কথা।