এইমাত্র যেন আগুন চিতা থেকে উঠে এসেছি।
সত্যিটা কারোর জানা হবে না।
গাঁয়ে হাতে এখনো আগুনের টুকরো
ভিতরের আগুনের তাপ আর বাইরের চেয়ে দ্বিগুন।
সকাল থেকে একনাগাড়ে খেটে চলেছি
পায়ে পায়ে হেঁটেছি এক সমুদ্র
না জলের কথা না খাবারের কথা কেউ বলেনি।
দোষ তিনদিন ধরে জ্বর কাশি ছেলেটার।
তাই, আসতে পারিনি শহর বাবুরবাড়ি।


শেফালী এলি আমি ভাবলাম...
রেখে দেওয়া বাকি কাজ
সব সারতেই হবে একদিনে।
নইতো অন্য কোথাও রাস্তা দেখতে নিতে হবে।
শেফালি মনে মনে প্রতিজ্ঞা নেয়, পারবে।
শেফালী শেষ করতে পারেনি সবটুকু।
যখন শেষ হল বাড়ি ফেরবার ট্রেন আর নেই।
রাতে থাকব কোথায় বৌদি... কেন সিঁড়িরঘরে।
রাতে যে হালকা শীত একটা কিছু ... পেয়ে যাবে।


রাতের অন্ধকারে কাজের ডাক দেয় বাবু
বলে একবার ঘরে আসবি নাকি?
সাফ জবাব বললাম না।
আমার দ্বারা এসব হবেনা বাবু।
হাত ধরে টান দিতেই শুরু হয়ে গেল ধস্তাধস্তি।
ঠিক সময়ে মালকিন আলো জ্বালে ঘরের।
জানতাম আমিই দোষী হব। তাই হলাম।
শেষে মুখ নাড়িয়ে বল্ললাম
আপনারা হলেন মুখোশ পরা ভদ্রলোক,
আমরা গতর খাটিয়ে খাই বটে,
কিন্তু গতর বিক্রি করিনা।