তোমার সাথে দেখা হয়েছিল
নর্মদার নির্জন তীরে। অপূর্ব মানিয়েছিল।
সকালের রোদ্দুর সোনা ছড়িয়ে রেখেছিল
নীলাকাশ পাহাড়ের আড়ালে ঝুঁকে পড়েছিল
তোমার মুখের অভিব্যক্তি দেখতে।
ওরা কি তোমায় প্রেম নিবেদন করতে চেয়েছিল?


তুমি তখনো ছিলে আনমনা
হয়তো নদীর উতাল ঢেউয়ে চোখ রেখেছিলে
স্বছ জলের গভীরতায় হৃদয় পেতেছিলে
কিম্বা নদীর সাথে বলছিলে
হাজার রাতের গল্পকথা।
অবাক আর বিস্ময়ের তখনো কিছু বাকি ছিল।
তোমার আমার মাঝে
নিমেষে এক পাহাড় নীরব আড়াল ঘুচে গেল।
নর্মদা নিজে এসে তোমায় ছুঁয়ে যেতেই
চমকে উঠে দুকদম পিছিয়ে গিয়েছিলে
আচ্ছা সেও কি অকাতরে প্রেম ভিক্ষা করেছিল।


তোমার সাথে তখনই আমার চোখে চোখ রাখা
কত না বলা কথা নিমেষে শুনিয়ে গেলে
আমার ছিল শুধু শোনার পালা
যেন কোন সুদূর থেকে আসা অশ্রুত সে বানী।
যেমন নদী অনেক অনেক দূর থেকে
পথ পরিক্রমা শেষে সাগরে গিয়ে বিলীন হয়
তুমিও ঠিক মিশে গেলে নদীর মতন।
হাজার রাতের গল্পকথা নেশার মতন শুনতে থাকি
এখনো সে কথা আজো ফুরায়নি
শুধু বলতে পারনি চুপ করে থেকেছ
অচেনা ঝিনুকে নীল মুক্তোর মতন।
আমি উত্তর খুঁজি - নিজের মিষ্টতা হারিয়ে
কেন লবনাক্ত হতে চেয়েছিলে?