বার বার আমি তোর কাছে ইচ্ছা করে হেরে যাই।
সেই কবে থেকে শুরু হয়ে ছিল সেই খেলা
তুই জানিস আর আমি জানি।
আমি তখন নাইনে পড়ি তুই এইটে
সেই থেকে শুরু সেইখেলা।
শরতের এক ভোরে কে কত শিউলি কুড়াতে পারে?
খুব ভোরে শিউলিতলায় গিয়ে দেখি তুই এসে গেছিস
আর সব ফুল কুড়ানো শেষ ।
তুই কলকলিয়ে হেসে বললি - দেখলি তো জয় পারলিনা ।
আমি রেগে বলি- তুই যে আমার কাছে রোজ রোজ হারতিস।
আজ হেরেছি ফুল কুড়াতে। শেষখেলা অন্তাক্ষরিতে পারবি?
আজ যেন অনেক গান ভিড় করেছে আমার মনে ।
একটা ও শেষ করে পরেরটা আমি কতক্ষণ চলেছে জানিনা।
রাত জাগা পাখির ডাকে নন্দিনী সুর হারিয়ে ফেলে।
কিছুতেই ‘প’ দিয়ে গান মনে করতে পারে না ।
কেঁদে বলে আমি আর পারছিনা খেলা শেষ কর জয়।
আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে !
শেষের গান শুরু করি – ‘’পুরানো সেই দিনের কথা ‘’
নন্দিনী কলকল হাসিতে গান গায় সাথে সাথে।
শেষে বলে জয় তুই জিতে গেলি।
খেলার নিয়ম মেনে আমাকে চলে যেতে হবে দূরে কোন সুদুরে ।
ভাল থাকিস পারলে ভুলে যাস। জীবনটা নতুন করে গড়ে নিস।
কেমন নেশা লাগার মতন চুপ করে শুনে গেলাম দেখে গেলাম
বলতে পারলাম না যে আমিও তোকে খুব ভালবাসি।
সকালে বালিশের পাশে একরাশ সদ্যফোটা বৃষ্টিভেজা
শিউলিফুল দেখে মনটা ভরে গেল।