আমাদের ও বাড়ির সাথে বিশাল উঠান ছিল
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে উঠান।
ওকে নিয়েই কিছু ফুল চয়ন করবার ইচ্ছা।
যেখানে ডালিমগাছটা রক্তিম হয়ে বিরাজ করত।
একটা ছিল আকাশ ছোঁয়া লম্বা খেজুরগাছ ।
বছর ঘুরলে দিত ফল আর শীতে মিষ্টি রস।
মাঝে মাঝে রসকাঠি জড়িয়ে বুলবুলি মাতাল হতো।
ছবিটা স্পষ্ট এখনো ভাসে ক্যানভাসে।


মাটির বারান্দার শেষেই ছিল একটা ঢেঁকি
ধানের বোঝা যখন বাড়িময় গন্ধ ছড়াত ।
এবার সকাল থেকে সন্ধ্যে মাটিতে মাথা ঠুকে ঠুকে,
গৃহস্থের কল্যাণ করতে হবে।
সুযোগ বুঝে রাতে শুধু একটু ঘুমিয়ে নিতো।
সে জানত সময় এসে গেছে এবার
আর অলসতা নয়, সবটুকু উজার করে দিতে হবে।
অবশ্য নবান্নে সে ফুল মালা আল্পনায় পূজা পেত।


ঢেঁকির পিছনেই ছিল পেয়ারাগাছ।
দেশের বাড়ি গেলে ওই গাছ থাকত আমার দখলে।
আর ছিল একটা গন্ধরাজ আর কাঠগোলাপ।
বাবার বসানো নারকেল গাছ ছিল বাড়ির পূর্বকোণে ।


আর ছিল কালু সারাদিন রাত্রি বাড়ি থাকত পাহারায়।
ওর জন্য বাড়িতে  চিল পক্ষী বসতে পারতনা।
তবে সারাদিন চড়ুইদের সাথে ছিল ভীষণ ভাব;
কখন মজা করে উড়িয়ে দিত আবার কখন নিলিপ্ত।
ওহো! কালু রাস্তার নেড়ি কুকুর।
একদিন বাবা রাতে ফলের দোকান বন্ধ করে ফিরছিল।
পা জড়িয়ে কুইকুই করে কাঁদছিল এক কুকুরছানা
আশেপাশে ওর মাকে বাবা দেখতে পায়নি।
হয়তো খিদে পেয়েছে, বাবার কেমন মায়া হয়েছিল।
সেই থেকে আমাদের বাড়িতে ওর দখলদারি।


নাহ আজ আর কিছুই নেই সব হারিয়ে গেছে।
প্রত্নতাত্বিকের মতন কিছুটা হৃদয় খনন করলাম।