তুমি নাকি সেদিন ছিলে একাই একশ হয়ে ।
একা একটা আকাশ সলমা জড়িতে ঝিকমিকিয়ে দিয়েছ ।
সেই আলোতে খুশির প্লাবনে ভেসেছে ওরা ।  
যারা গিয়েছিল ভোরে আলোর বৃষ্টিতে ভিজবে বলেছিল ।
সবাই নাকি প্রাঙ্গন জুড়ে করেছিল কলতান ।
সব্যসাচী হয়ে দুহাতে হয়েছিলে নাকি দশভূজা !
একে একে বেঁধেছিলে হাতে হাতে ভালবাসা রাখী ;
অধরে রেখেছিলে জুই ফোটা অমলিন হাসি ।
ঠোটে ঠোটে উষ্ণ চায়ের পেয়ালাতে চুমুক দিয়ে ,
সমস্বরে বলেছিল 'কেয়া বাত , জবাব নেহি তুমহারা'  
ওরা কি সবুজ ঘাসের শিশিরে পা ভিজিয়েছিল ?
কেন জানি আমি শুধু পথ ভুলে অন্য কোনোখানে ;


রুপনারায়নের রুপালি ঝিলিক শুধু চোখে নয়,
জিভেও ছিল রুপালি ফসলের অনুপম স্বাদ ।
ভুল শুধু ভুল তারাহীন আকাশের আঁধারে পথভোলা ।
ভুল করে পারিজাত আহরণে সারাদিন সারারাত,
পথ খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে একা রয়ে গেছি ।
যদি ডাক দাও আবার সে মিলনমেলায়...
আর ভুল হবেনা ঠিক চলে যাব শিউলি সুবাস চিনে ।
হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে পড়ে নেব ভালবাসা রেশমি রাখী ।
আমিও নিজেকে মিলিয়ে দেব হাসি গান গল্প কবিতায় ।
         হাসি মুখে হাত বাড়িয়ে ডেকে নেবে তো আমায় !



* এই কবিতা কবি জয়শ্রী কর মহাশয়া'র জন্য উত্সর্গ করলাম । যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকি মার্জনা করবেন কবি ।