বিভীষিকাময় ঝড়
একে একে নিতে থাকলো জীবনের সম্বল।
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ কালে কেন সবাই নীরব ছিল?
জীবনের পাশা খেলাতে কেন শুধু হেরেই যাচ্ছিলাম?
শেষবারের মতো রুখে দাঁড়ালাম বললাম না-
এই জীবন তোমায় আমি নিতে দেবোনা।
ফিরে গেল সে,চারিদিক শ্মশানের নীরবতা।
প্রকৃতিও সন্তানদের জন্য বোধহয় কেঁদে উঠলো।


আমি বা আমরা তৃষ্ণার জল চাইলাম।
সে বা তারা বললেন ধৈর্য ধরুন।
আমি বললাম বড় অন্ধকার আলো চাই।
তিনি বললেন আর একটু ধৈর্য ধরুন।
আমরা বললাম আমাদের বড় খিদে পেয়েছে।
তারা বললেন আপনার একটু ধৈর্য ধরুন।
সদ্যপ্রসূত সন্তান বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে।
ওরা বললেন ধৈর্য ছাড়া আর কিছু করার নেই।


ধৈর্য ধরতে ধরতে একসময় মৃত্যু উপস্থিত।
আমি বললাম তৃষ্ণার জল আগে পান করি।
আমরা বললাম আগে আলোর মুখ দেখি।
আরো বললাম দুবেলা দুমুঠো আগে খাই।
পৃথিবীর সন্তানকে আগে সুরক্ষা দিই।
তারপর দলে দলে ঘুমাবো তোমার কোলে।