কিজানি কিসের থেকে কি হয়
তোর খবরটা পেতেই
আমার কেমন বুকের ভিতর কি যেন একটা হোল
কি যেন দুর্বার বেগে ঠেলে বেড়িয়ে আসতে চায়ছে।
আমি কছুতেই স্থির থাকতে পারছিলাম না।
লাট্টুর মতন ঘুরতেই থাকি বনবন করে।
দম ফুরিয়ে যাওয়া লাট্টু যেমন স্থির হয়,
দু চক্কর দিয়ে আমিও এক্কেবারে নিথর ।
কে যেন অদৃশ্য একটা স্কিনে
তোর দুরন্ত হাসি মুখ ফুটিয়ে তুলল নিভৃতে
আমার চোখ দুটোয় ভীষণ জ্বালা ধরে
তখন আমার আর কিচ্ছু করবার ছিলনা।
জানলা দিয়ে দেখি নদীর ওপারের ঝাপসা বৃষ্টি।


আমাদের গ্রামে একটা বৃদ্ধ বটগাছ ছিল
এমনি কারোর কিছু ঘটলে ছুটে যেত তাঁর কাছে।
অকাতরে সবটুকু বলে দিয়ে শান্তি অনুভব করতো।
বটগাছ তাঁর পাতা নুইয়ে দিয়ে সবটা শুনত।
খবরটা পাবার পর আমিও ছুটে যেতে পারতাম।
কিন্তু যেতে পারলাম কই, মা যে মূর্ছা গেলেন।
এমন আকস্মিক ঘটনা কে সহ্য করতে পারে!


গিয়েছিলাম রাত গভীর হলে
আমার সব যন্ত্রণা নিমেষে উবে গিয়েছিল।
তোর স্বরে শুনেছিলাম অপূর্ব আকাশবানী
- ভাই পরিবার আঁকড়ে থাকিস ভাই...
এ যেন এক অনন্য এক শপথ
তোর ভাবনার অসামান্য প্রতিফলন আমার জীবনশৈলী।