তিন্নির বাড়ির পিছনে একটা বড় পুকুর ছিল ।
সেই বছরে পথ ভুলে জলপিপিরা এসেছিল ।
তিন্নির আবিষ্কার, এই খবর ছুট্টে এলো জানাতে
আমি তখন মাধ্যমিকের বাধ্য ছেলে ব্যস্ত পড়াতে ।
জানলা দিয়ে ফিসিফিসিয়ে ডাক দিলো সে ইশারায় ;
তিতিরের মত বুকটা তার হাঁপরের মত বাতাস নেয়।


কি হলো রে তিন্নি ? হটাত এলি কি মনে করে ?
জানো অনি'দা! কত জলপিপি এসেছে পুকুরে ।
একবার চলোনা,ওদের সাথে তুলব একটা ছবি;
দৌড় আগান বাগান পেড়িয়ে,তখনি অস্ত গেল রবি।
তিন্নির মুখে অমাবস্যা এপাড়াতে নামলো আঁধার ;
তবু ও যেতেই হলো দেখতে জলপিপিদের আসর।


পাখপাখালির শব্দ শুনে, চাঁদ নেমেছে আকাশ থেকে ।
এ যেন এক নতুন জগত, অচেনা অতিথি স্বপ্ন মেখে ।
হলো না আর ছবি তোলা, ঢুকে পড়লাম ছবির ভিতর ;
জলপিপি আমি আর তিন্নি,ঘরে ফিরিনি হোলাম ফেরার।