অপূর্ব ভাবনার তীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলেছে কাব্যতরী
আকাশের চাঁদ থেকে চুয়ে চুয়ে পড়ছে শ্বেত জ্যোৎস্না
রাতজাগা পাখীর ডানা থেকে ঝরে ঝরে পড়ছে পালক
তুমি আমি চেয়ে চেয়ে পার হই সহস্র আরব্যরজনী।
বুকের বাম অলিন্দে থেকে থেকে রক্তচাপ বাড়ছে
তোমার শরীর কেন ধীরে ধীরে মোমের মতন মসৃণ?
তুমি কি হিম হিম কুয়াশায় স্নান সেরে এসেছ
কেমন যেন কুসুম কুসুম গন্ধে নেশা লাগছে।


আমি কি মিশে মিশে যাবো গিরিখাত পাহাড় নদীতে
যতক্ষণ পারি ভেসে ভেসে থাকি তরঙ্গিত তোরণে
নাম না জানা দ্বীপের লবঙ্গবন ডেকে ডেকে গেছে
জলপরীদের সাথে গানে গানে হবে নব পরিচয়।
ওরা ঝিনুকের মালা খুলে খুলে রাখে দিকচক্রবালে
সাগরিকার বালুকণায় মুছে মুছে যায় পদচিহ্নগুলি
তারাদের খসে খসে পড়ায় আনন্দ মুহূর্তের সাক্ষী
রাত্রি শেষে ক্লান্ত হয়ে ঘুমের দেশে হারিয়ে যাওয়া।