দেবদা
তোমাকে না বলা যত কথা মেঘ হয়ে জমে আছে হৃদয়ের আকাশে। তুমি টের পাওনি এতটুকু।নীল আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে দিয়েছ আমাকে লাটাই ধরে থাকতেই হবে তা'নাহলে তুমি ভোঁকাট্টা হবে।আমি নাকি তোমার কাছে খুব পয়া। কাটাকুটি ঘুড়ি খেলায় তুমি জিতলে বটে আমায় ভোকাট্টা করে দিলে। -এই শোন এগুলো বাড়ি দিয়ে তোর ছুটি। তুমি বন্ধুদের নিয়ে আনন্দে মেতে গেলে লাল নীল গাপ্পি মাছেদের মতন টক ঝাল মিষ্টিতে। কেন আমি থাকলে কি তোমার আনন্দ কম হত। আমারও তো সবসময় তোমায় ঘিরে থাকতে ইচ্ছে করে, তুমি মনে হয় ইচ্ছে করেই বোঝোনা না বুঝতে চাওনা।
রঙ খেলা শেষে তোমরা পিয়াইন নদীতে যাবে রঙ তুলতে আমি বাদ। রাতের জেগে ফাংসানে আমি বাদ, পায়ে হেঁটে সারারাত  ঠাকুর দেখার দিনে বাদ। গড়ের মাঠে ফুটবল খেলায় আমি বাদ। তোমা্দের সাথে থেকে থেকে আমি সাঁতার ফুটবল সাইকেল সবটুকু আয়ত্ত করেছি তাও আমি বাদ। কেন যে তুমি এত নিষ্ঠুর জানিনা।যখন হাত ধরে রাস্তা পার করাও তখন মনে মনে ভীষণ আনন্দ হয়। মনে হয় এমনি করে সাথে সাথে সারাজীবন থাকি। ঝটকা লাগে হাত ছেড়ে বলে দিলে -এবার থেকে একা একা রাস্তা পার হবি। একদিন জেদ করলাম তোমাদের সাথে জয়ন্তীয়া পাহাড়ে যাবোই যাবো। তুমি বললে -একদল ছেলেদের সাথে পাহাড়ে পাহাড়ে তুই একা অসম্ভব; এখন তুই বড় হচ্ছিস অনেকে অনেক কথা বলবে। কথাটা শুনে বুকের ভিতর নদী স্রোত হারিয়ে ফেলেছিল।পরে জেনেছিলাম তোমাদের সাথে ঊর্মি'দিও পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিল। আমি নিজেকে বোঝালাম... আমি আর বিপাশা হয়ে
আর কোনদিন তোমার দিকে যাইনি কারণ তোমার যে ঊর্মি ছিল। কিন্ত কথাগুলো কতদিন মেঘ হয়ে জমে থাকবে অন্তরে। তাই আজ ঝরিয়ে দিলাম খোলা চিঠিতে। দেখবে আমিও ঠিক একদিন সাগর খুঁজে নেব দেবদা...
নাম বলার কি দরকার!