আর কিছুক্ষনের অপেক্ষা
মঞ্চ প্রস্তুত। আলো শব্দ প্রক্ষেপন যথাযথ।
শুধু সুরেলা ঘোষিকা এবং বাচিক শিল্পী
এই হিমঘরে ঘেমে নেয়ে একাকার।
একে একে খালি আসন হয়ে গেল পরিপূর্ণ
প্রেক্ষাগৃহে উপছে পড়ছে মানুষ
অধীর অপেক্ষায় চোখের পলক পড়েনা।
শঙ্খ উলু মন্ত্রে উৎসবের সূচনা।
রবিঠাকুরের গানে উন্মুক্ত মঞ্চ ।
বাচিক শিল্পী ঘনঘন জল পান করে।
নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।


তার মনে পড়ছে ''যখন পড়বে না মোর পায়ের''
একি এই টানটান অবস্থায় এই গান কেন?
কে যেন বলে গেল পাশ দিয়ে
- উদিতা নিজেক সংযত করো।
এবারের যার নাম বলতে চলেছি
তিনি আর কেউ নন ... কথা হারিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের একান্ত চোখের আলো মহামান্যা...
গলা শুকিয়ে আসে...
টিক টিক টিক... সময় বয়ে যায়।
বাচিক শিল্পীর বাকরুদ্ধ...
টিক টিক টিক...
ধরাধরি তড়িঘড়ি ঘোষিকা বিদায়।
এগিয়ে আসে সংস্কৃতি ধারক বাহক;
চকিতে শব্দ যন্ত্রের দখল নেয়
এবং নাম ঘোষণা করেন একাডেমী প্রাপকের।


মুহূর্তে যেন মনে হোল বাংলা এগিয়ে গেল,
নাকি অনেকটা পিছিয়ে গেল।
বুঝলাম ... না । রবি ঠাকুরের গান মনে পড়ল
''আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার...''