আজ পঁচিশে বৈশাখ।কবির জন্মদিন।
ঘরে ঘরে দেশে বিদেশে তোমার পূজার আয়োজন
ফুল মালা চন্দন থাক বা না থাক
তোমার পূজা ঠিক হবেই ঠাকুর।
ছবির ভিতর থেকে কী সবটা দেখতে পাও।


আজ পঁচিশে বৈশাখ।কবির জন্মদিন।
পাশের বাড়ির রেডিওতে তোমার গান
জর্জবিশ্বাসের ভরাট গলায় বেজে উঠলো।
লালপাড় শাড়ীতে কেরানী গিন্নীর
হাতে তোমার দাড়িওয়ালা ছবি।
এবার তুমি ফুল মালা আর চন্দনে হবে সজ্জিত।
টালির চালের বাড়ির মেয়েটা
সবুজ ঘাসে তোমার গানে নাচ করছে।
''ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি''
ওর আজ পরীক্ষার ফল প্রকাশ পাবে।
দুশ্চিন্তা এক্কেবারে মুছে দিতে নাচে মেতে আছে।


কী আশ্চর্য।
যে শিশুটার অহংকারী মা
তাঁর একমাত্র ছেলেকে বাংলা কথা বলতে দিতনা।
আমার কাছ থেকে তোমার লেখা বই নিয়ে গেল।
সে পণ করেছে খাওয়া দাওয়া ত্যাগ করবে।
তাই তাকে পড়ে শোনাতেই হবে বীরপুরুষ কবিতা।
সুযোগ বুঝে দেশের কর্মকর্তা অবাঙালি মানুষটাও
তোমার কবিতা বেমালুম বলে চলেছে।
যদি ভিক্ষাপাত্রে জুটে যায় সেই ম্যাজিক সংখ্যা।


আজ পঁচিশে বৈশাখ।কবির জন্মদিন।
ফুল মালী বউটা জানে আজ ব্যবসা ভাল হবে
বেল জুঁই রজনীর মালা দেদার বিক্রি হবে।
তাঁর চাকরি না পাওয়া ছেলেটা
নিজেকে ঘর বন্দী করে রেখেছে।
আজ সে শুধু তোমার কবিতা পাঠ করে চলেছে।
বুকের ভিতরে উদ্বেল উতাল কান্না
জমিয়ে কেউ গান গাইতে পারে?
এই পৃথিবীতে মনে হয় তুমিই একমাত্র ছিলে
তাই অকাতরে যন্ত্রণা ভুলে যেতে গেয়ে উঠেছিলে।
''আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে''