এক একটা কবিতা ঠিক নদীর মতন
উৎস থেকে আপন ছন্দে জোয়ার ভাঁটায়
স্রোতে উজানে ঠিক বয়ে নিয়ে যায়
মহামিলনের ঠিকানায়।


এক একটা কবিতা ঠিক যেন শ্বেত পারাবত
কালো গভীর চোখে দেখে সমুখে মুক্তির দিন
ডানায় নীল আকাশের নেশা, কণ্ঠে বাঁধন ছেঁড়া গান
ভোরের রক্তিমতায় মুক্তিস্নান।


এক একটা কবিতা ঠিক যেন জ্বলে থাকা মশাল
অন্ধকার যত সব পুড়িয়ে দিয়ে নিমেষে
সোনালী শিখায় বিপ্লবী বীজ দিতে চায় বুনে
তখনি দুরন্ত কালবৈশাখী এসে হাত ধরে।


এক একটা কবিতা যেন বারুদে ভরা আগুন গোলা
মৌচাকেতে ঢিল। লাঠির ডগায় রদ্ধ হয় গলা।
তবু আগ্নেয়গিরি মৃত্যু নেই, সে মুক্তি খুঁজে বেড়ায়
ঘুমন্ত পাড়া হঠাৎ জাগে ফুটন্ত লাভায়।


এক একটা কবিতা যেন যাজ্ঞসেনীর বলিষ্ঠ ভর্ৎসনা
বর্তমান সমাজের তীব্র কষাঘাতের রক্তাক্ত ছবি।
প্রতিদিন মেনে নিতে নিতে দরবার নপুংসক
পথ ভুলে গেছে প্রতিবাদ প্রতিরোধ।


এক একটা কবিতা যেন চেতনার উন্মীলন শিখর
দৃঢ় মেরুদণ্ডে আগামীর কথা ঘোষিত হয়
অপূর্ব আলোর বৃত্ত রচনা করে, সব কালিমা শুষে
মেঘ বৃষ্টি রোদ্দুর শেষে, সে দাঁড়ায় বন্ধু বেশে।



* আজকের কবিতা কবি Md Saleh Uddin Pramanik-এর জন্য উৎসর্গ করা হোল।