সময় ধরে কবিতা বাড়িতে আসে
কাল আসেনি, অযথা ও কামাই করেনা ।
আজ ঘড়িতে ঠিক সাতটা বাজতেই
কেউ যেন বেল বাজিয়ে ঘরে এলো।


আর যেই হোক না কেন ইনি কবিতা নন,
কবিতা আসলে কথার ফুলঝুরি ফুটত ঘরে।
বৌদি দাদাকে দেখছিন্‌ বাজারে গেছে তাইনা?
কাল সিরিয়ালে শ্রীময়ি দেখেছ,কষ্ট হচ্ছিলো বল!
আর রাণী রাশমণিকে যখন রামকৃষ্ণ চড় মারল ;
কালী কল্কাতাওয়ালি দেখিনা অনেক রাতে হয়তো;
পাঁচ বাড়ি যেতে হয় তারপর ইস্কুল, ঘুম এসে যায়।
শরীর আর দেয়না গো বৌদি।
তারপর ঘরে কি মশার উৎপাত যে কি বলব;
দাদাকে বলনা একটা মশামারার ব্যাট কিনে আনতে,
মাস ফুরালে যেটা দেবে সেখান থেকে কেটে নেবে ।


দুই কামরার ঘরে লাইজল আর ডেটলের গন্ধে ভরপুর।
অনুভবে বুঝলাম যে কবিতা এসেছে ।
এ যেন অন্য এক কবিতা, একে আমরা কেউ চিনিনা।
প্রশ্ন করতেই ... দুবার কেশে মুখে আঁচল চাপা দেয়।
হাঁপাতে হাঁপাতে যা বলল বুঝলাম কাল ধুম জ্বর ছিল ।
মোটেই মাথা তুলতে পারছিল না, আজ একটু ভাল।


শোন কবিতা বাড়ি যাও, সময় ভাল না। আগে সুস্থ হও ;
ফোন নাম্বার দিয়ে যাও... সম্পূর্ণ ভাল হলে এসো।
কতদিন হয়ে গেল কবিতা আসেনি, কোন খবর নেই;
পৃথিবী ও অসুস্থ ...এই অবস্থায় কবিতা ভাল আছে?
খোঁজ নিই মুঠোফোনে...বেজে যায় কেউ ধরে না।
ও আরও বলেছিল আমি কিন্তু ফোন করতে পারিনা।
ভুল নাম সেভ করে রেখেছি- কবিতা নয় সবিতা।