দুদিন ধরে পথ চলছি, জানিনা কতক্ষণ লাগবে পৌঁছাতে সেই ভূস্বর্গে ।
আমার স্বপ্নে দেখা শ্বেত পারাবতের দেশ দেখার শখ পূর্ণ হতে চলেছে।
তবে কি যেন নিজেকে মনে হচ্ছে, আমি ভীষণ রকমের এক অপরাধী
সঙ্গী সাথীরা আমার ব্যপারে খুব নিরব, নিরাপদ দুরত্ব রেখে চলেছে ।


জানো অরণ্য, একদিনের তৎপরতায় বাবার বাইপাস সার্জারি হয়ে গেল ;
রক্তের খুব প্রয়োজন, অনির্বাণের গ্রুপ মিল যেতে মুশকিল আসান হল।
আমার এই শোচনীয় টালমাটাল অবস্থায় পারাপারের মাঝি ওই ছিল  ;
সেই মুহূর্তে আমার একটা নিরাপত্তার ছাতা খুব দরকার হয়ে পরেছিল।


গাড়ীর ভেতর থেকে দেখতে পারছি প্রকৃতি কেমন ধিরে বদলে যাচ্ছে;
কাগজ কলম থাকলে হয়তো লিখতাম, একগুচ্ছ কবিতা যেতাম ভেসে ।
শরীরে শীতের অনুভব, আমরা হয়তো গন্তব্যস্থলের খুব কাছাকাছি ;
লাবন্য, দুঃখিনী মাকে বলে দিও, আমি এখন বাবার গল্পবলা দেশে।


সামনে মহালয়া, আর কদিন পরেই এই শহর আলোর খুশিতে হাসবে।
বাবা বাড়ি ফিরেছে, এখন অনেক সুস্থ, তোমার কথা খুব জানতে চায় ।
মা আমার একান্তআপন ব্যপারটা বুঝে গেছে,তাঁর কাছে আমি পাপী;
অরণ্য জানো, নতুন প্রানের স্পন্দন মাঝে মাঝে আমায় খুব ভাবায়।
                                            কি যে করি...