ঠাকুমা কে সময় বিশেষে বলতে শুনেছি
ওই যাঃ গেল গেল গেল সব খেয়ে গেল ।
মাকে অতটা না তবে মাঝে মাঝে বলে ওঠতো  
আর পারিনা বাপু ভালো করে ঘুমুতে দেয়না ।
দিদি বলে মাঝে মাঝে চিত্কার করে
ও মা দেখ, আবার ওরা ঘর নোংরা করেছে ।
ওরা আর কেউ না, ছানাপোনা নিয়ে থাকে;
আমাদের ঘরের পাশে সাথেই বসত করে ।
লাফিয়ে লাফিয়ে চলে খুঁটে খায় পোকা দানা
ঝাঁকে ঝাঁকে বসলে সাফ হয়ে যায় মরাই
ওরা যে আমাদের পরশী, আজ প্রায় লুপ্ত চড়াই।


এখন ওরা ঠায় পাবে-
জাদুঘরে, মুঠোফোনের রিংটোনে মিডিয়াতে
ওদের জন্য নেই আর সেই থাকার ব্যবস্থা ।
এই শহর নগর হয়ে যাচ্ছে দ্রুত নগরায়ন ;
টাওয়ারের তরঙ লড়াইয়ে শেষ হচ্ছে চড়াই ,
হটাত দেখা ধুলোর স্নানে আর ওরা নেই...
বকুল গাছে সন্ধ্যা হলেই কিচির মিচির নেই ...
পোস্ট বাক্সের মত বাড়ির ঘুলঘুলি ও নেই ...
ওদের দেওয়ালে ঠেকেছে পিঠ ;
আমাদের যে খুব কিছু করবার আছে ? নেই !
হারিয়ে যাচ্ছে হারিয়ে যাক ধীরে ধীরে ...
পরের প্রজন্ম প্রশ্ন করলে জবাব দিতে পারব কি ?।