তোমার মেঘ-বাড়িতে
এই নরম শীতে বেড়াতে এসেছি।
কোথাও কোথাও এখন বিষণ্ণ মেঘ
শরতের মেঘও আলতো লেগে আছে,
একটা বৃষ্টি মেঘ সানসেটে সেঁটে আছে
আর অনবরত বৃষ্টি ঝরিয়ে যাচ্ছে।
একথা তুমি এক্কেবারে বলোনি।
একোরিয়ামের লাল মাছটা
মৃত বলে সরিয়ে ফেলে দিয়েছ।
ওকে যেই সেই বৃষ্টির ঝরাজলে রেখেছি
দিব্যি জল চৈ চৈ করে উঠলো সে।
ওকি তোমার কাছে মুক্তি চেয়েছিল!
কি জানি!


পোড়া সিগারেটের গন্ধে আশ্চর্য মাদকতা
ভাবলাম একবার শুঁকে দেখি
ওতেই রাখা ছিল ফেলে আসা জীবন।
কি ভেবে নিজেকে সংবরণ করে নিলাম।
জানি, উপন্যাসের ফেলে আসা পথ
গানের মতন বারবার মুখরায় ফিরে আসেনা।


প্রিয় মুখগুলো উজ্জ্বল রঙের দেওয়ালে শোভা বাড়াত।
আজ সেগুলো কেন যে উল্টো করে রেখেছ জানিনা।
ওদের সাথে কি দুরত্ব নাকি তিক্ততা বেড়েছে;
সবাই কি একে একে কাঁটার পথ পেরিয়ে
ওই নীলপাহাড় ঘেরা পথগুলো মাড়িয়ে চলে গেছে।
অথচ, তোমার এই মেঘ-বাড়ি নিয়ে
আমার ছিল খুব খুব আগ্রহ।
বুঝতে চাওনি নাকি ইচ্ছা করেই বোঝোনি।


যাবার সময় তোমার দেখা পেলাম না।
থাকলে হয়তো তোমার নীল চোখে
আমায় খুঁজে নিতাম।
যদি পেতাম হয়তো আর একবার চেষ্টা করতাম,
ছুটে যেতাম নীল সাগর ভেবে ডুব দিতে...