আগামী সাত তারিখে তোর একান্ত আপন
রক্তিমের কবিতার বই প্রকাশ পাবে।
প্রথম দিনের প্রথম কবিতা আগমনীর
তুইই ছিলি প্রথম শ্রোতা।
বারবার তিনবার পড়তে হয়েছিল।
শেষে আমিই ধৈর্য হারিয়ে ফেলি।
তোর চোখে চিকচিক জল তুই বললি
- তোর লেখা ছাপা অক্ষরে দেখতে পাব।
বিশ্বাসই হচ্ছেনা, দেখবি একদিন বই হবে।
সব্বাই দেখবে চিনবে, বইমেলায় বিক্রি হবে।
তোকে তখন সব্বাই এক কথায় চিনবে।
আমার বুকটা গর্বে ভরে উঠবে।
আমার কথা মিলিয়ে নে, দেখবি সত্যি হবে।
  বেশ ছিলাম খুনসুটি আর ভালো লাগাতে
ঠিক ঢোলকলমির দোল দোলনের মতন।


তারপর একদিন সানাই-এর করুণ সুরে
দেয়ালে লক্ষ্মীর ছাপ রেখে
পায়ে পায়ে চলে গেলি সুদূর কোন পরবাসে।
অভিমানে আমার দিকে ফিরে দেখলি না।
বুকের ভিতর কি ভীষণ আশ্চর্য কাঁটার যন্ত্রণা...
ভাবলাম, প্রশমিত করবে শালুক ফোটা দীঘি।
হলনা, শালূক ফুল আরো লাল।
যেন তোর মুখ। তুই বলছিস এ তুই কি করছিস...
তুই কবিতা লেখ আমার জন্য।
তোকে আমি সে রুপেই দেখতে চায়।


তোর কথা-স্বপ্ন সফল হতে চলেছে,
তুই কতদূরে পরবাসে কি জানি!
পারলে চলে আসিস যথাস্থানে
তোর পানপাতা মুখ দেখলেই
আমার ''মেঘ বৃষ্টি রোদ্দুর'' খুশি হবে।