এই মেয়েটা কি নাম তোর
মুখ ঢেকেছিস ওড়না তলে।
কিচ্ছুটি না বলে, দেখিয়ে দেমাক
হটাত কোথায় যাস চলে?
বলবি নাতো বলবি না
আমার কি যাই বা আসে তাতে।
আমার আছে বাদল বাতাস
মনের সুখে কথা হবে তার সাথে।
আমার আছে টবের সূর্যমুখী
অনেক কথা ওকেই বলে ফেলি।
আর কিছু কথা জমিয়ে রাখি
আসে যখন শিউলি গাছের বুলবুলি।
নামটা দিলাম মেঘকুমারী
আজকে ভাব কালকে আড়ি ।
তুইকি থাকিস মেঘের বাড়ি?
শাড়ি কি পড়িস নীলশাড়ি ?
আমার ও আছে হলুদশাড়ি
যখন তখন কি পড়তে পারি।
যখন দেবী আসেন হাঁসের পিঠে
অঞ্জলি দিই পড়ে হলুদশাড়ি।
"আমার আজ অনেক কাজ
সময় কোথা বলব কথা।
বৃষ্টি দিয়ে করতে হবে শান্ত
বর্ষা শেষে আসব দিলাম কথা।"
আসবে যখন বাবার খবর এনো
সেইযে বাবা গেল আর এলনা।
শুধালে মা চোখের জলে ভাসে
চুপটি করে থাকে কিচ্ছু বলেনা।
বাবার সাথে দেখা হলে বোলো কিন্তু
তোমার সোনা একটুও নেই ভালো।
মায়ের আবার যখন তখন জ্বর আসে
আমার রাতের কালো হয়না আলো।
তোর সাথে হোক চিরদিনের ভাব ।
মনে থাকবে, সই মেঘকুমারী ।
একদিন না হয় তোর সাথে দেবো পাড়ি
নীলশাড়িতে ওই মেঘেরবাড়ি ।