সকালের রোদ্দুর যখন প্রথম পড়লো রবার গাছের উঁচু ডালে
ঠিক তখন মা চিল আকাশে উড়ে গেল বাচ্ছাকে রেখে বাসায়।
ছানা উদাস হয়ে দেখে মা হারিয়ে গেল আকাশের নীলে
বুকের ভিতর অজানা একটা আতঙ্কের পারদ উঠে আর নামে।
আজ যেন গাছের নিচে মেলা অনেক মানুষের জন সমাগম
দড়া দড়ি মেশিন পত্র করাত কুড়ুল আর কত কি সব এনেছে।
ছানার ভয় ক্রমশ বাড়তে বাড়তে সহ্যের সীমা পার করেছে,
মা যে তার এই মুহূর্তে বাসায় নেই ভাবনা আকাশ পাতাল জুড়ে।
চিলের ছানা অস্বস্তিতে ডানা ঝাপটায় পারবে কি সে আকাশে উড়তে
ধিরে ধিরে ইচ্ছের ডানায় উড়বার শক্তি প্রাণপণে জোগাড় করে।
ডানা যেন ভারি জগদ্দল পাথর কিছুতেই তাকে নাড়ানো যায়না
নিচের মানুষগুলো চিৎকার করে গাছটাকে কাটবার চেষ্টা করে।
কি যেন বলছে ''হেই সামাল হেই সামাল, মার জোরসে ধরে টান
করাত চেড়ার শব্দ দুই কানেতে বাজছে ভীষণ জোরে জোরে।
ছানা মনে মনে বলে মা তুমি কথায় গেলে আমি এখন কি করি,
ওদের হাতে পড়লে আমার মৃত্যু নিশ্চিত। ছানার চোখে জল।
মা গল্প বলত আকাশে উড়ে বেড়ানো যেন অনন্য স্বাধীনতা
ওদের হাতে ধরা পড়া মানে ঘাড় গুঁজে থাকা শৃঙ্খলে পরাধীনতা।
একবার ডানা মেলে বাতাসে উড়তে পারলেই মিলবে স্বাধীনতা
গাছ ভুতলে পড়বার মুহূর্তে বিশাল আর্তনাদ আহা কি ঘটে গেল।
বাসা সমেত পাখি মাটিতে পরতে থাকে, কি ভেবে সে ডানা ছড়ায়
বাতাস তাকে পরম আদরে ডান থেকে বামে উড়তে শিখিয়ে দেয়।
ভয় আতঙ্ক নিমেষে কোথায় হারিয়ে গেল।সে এখন স্বাধীন চেতা।
ছানার ডানায় মুক্তির স্বাদ। এদিক ওদিক মাকে তার খুঁজে বেড়ায়।