নাহ এখুনি যাচ্ছি না ...
এখনো যে অনেক কাজ বাকি
ফাগুনি পূর্ণিমায় যে  উৎসব হবে অনেকে আসবে
সব্বাই বলেছিল,এবারে নাকি তাঁরা জ্যোৎস্না মাখবে;
আকাশ থেকে নেমে আসবে পরীর দল
ওদের হাতে মোমবাতির মতন তারার আলো।
আনন্দ সঙ্গীত তখন গাওয়া হবে ঐক্যতানে ;
নাহ তখুনি চলে যাবনা ...
সবে বাতাস ময় রবিশঙ্করের সেতারের চিঙ্গারি
তাপসের মোহিনী মায়ার আলোর বিচ্ছুরণ ;
আনন্দ শঙ্করের সৃজনী নৃত্যছন্দে চারিদিক স্বর্গীয় মায়াজাল
এই আনন্দস্রোতে ভেসে যাবে সাত সতেরো আশীর সাথীরা।
নাহ তখুনি চলে যাবনা ...
তখনতো শোনা হয়নি লে হালুয়ার মতন রোমাঞ্চিত
শক্তি সুনীল নামী অনামি রক্তিমের কবিতা ।
একে একে উঠে আসবে রক্তকরবী’র না ফোটা বেদন বানী;


এপার বাংলা ওপার বাংলা পাল তোলা নাওয়ের মাঝির গান
''হেঁইয়োরে হেঁইয়ো হেঁইয়্যা মারো হেঁইয়ো''
এই সব শুনে ঝরে ঝরে পড়বে কামিনীর যত পাপড়ি দল।
পূবের আকাশ ধীরে ধীরে আলোকজ্বল উষ্ণতার প্রতীক।
তারপর, হয়তো একে একে শুরু হবে বাড়ি ফেরার পালা।
তবু তখুনি আমি যেতে পারব কি করে?
যারা কাল পরেরদিন আসবে
তাদের জন্য রেখে যাব বাঁশি... বাঁশির সুর
তারপর আমি চলে যাব...
দুরের জাহাজ ভেঁপু বাজিয়ে যখন আমায় ডাকবে
বলবে- একজন যাত্রী এখনো এসে পৌঁছায়নি,
সে আগে আসুক... তারপর ছেড়ে দেবো সপ্তডিঙ্গা
তখন হবে আমার যাত্রা শুরু আলোর শহরে
যেখানে কখন রাত্রি নামেনা,
নীল সমুদ্র তাকে ঘিরে রাখে আর নৃত্য করে
যে কদিন থাকব সেখানে সেই কদিন
হয়তো আর কাউকেই জ্বালাবনা।
আজ তবে থাক,
আবার নাহয় পরে কথা হবে।