সকাল থেকে মা কেঁদে কেঁদে বেড়াচ্ছে
ওর বাচ্চাটা ও আর খুঁজে পাচ্ছেনা;
আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে অনিমেখে
কি যেন বলতে চায় ও। বুঝতে পারিনা...
মনে হয় ও চায়ছে, বাচ্চাটাকে খুঁজে দিলে ভালো হয়।
মনে মনে ওকে বলি বাছাধন...
তুইতো চাসনি যে রুগ্ন বাচ্চাটাকে আমার ঘরে যত্নে রাখি।
তুই নিজেই হয়তো মুখে করে কোথাও রেখে এসেছিস,
এখন সবটা ভুলে গিয়ে কান্নায় বাড়ি মাত করছিস।


যা পারবনা। তোর হয়ে কোন কাজ করবনা।
করুণ দৃষ্টি বাধ্য করলো খুঁজতে তোর বাচ্চা।
পাড়ার কোনা কাঞ্চিতে খুঁজে বেড়ালাম, পেলামনা।
ভাল্লাগেনা আর ঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসছে কি করি!
রাত জেগে কাজ করেছি, এখন যে ঘুমের সময়।
যদি বিশ্বাস করতিস, তবে ঘরেই থাকত তোর রুগ্ন বাছা।
ওতো আর তোর মতন কাঁদতে পারেনা, ওর সে শক্তি নেই,
জেনে শুনে ভুল তুই করেছিস, এখন আমায় ভোগাচ্ছিস।
সকাল থেকে খুঁজতে খুঁজতে দুপুরের তাপ বাড়ছে।
কই? কোথায়? মোটেই যে দেখতে পাইনা তাকে।


অবশেষে ওমা ওইতো শুয়ে দত্ত বাড়ির কার্নিশে।
রোদের তাপ পিঁপড়ের অত্যাচারে বেচারি ছটফট করছে।
সত্যি করে বল মিয়াও এ তাহলে তোরই কাজ।
অতো অত উঁচুতে ওকি উঠতে পারে।
এখন থেকে আমাদের একটু বিশ্বাস করিস বুঝলি।