যখন আমি কল্পনায় নিমগ্ন হই
তখন জীবজগতের যাবতীয় অনামিকা চরিত্ররা
একে একে সামনে এসে দাঁড়ায়, বলে আত্মকথা ।
তখন বাস্তবের কাউকে দেখিনা কিচ্ছু শুনিনা
যে ট্রাম গাড়িটা মৃত্যুর মত এগিয়ে আসছে ...
না সেটাকে এক্কেবারে দেখতে পাইনি।
যখন বুঝলাম তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে;
পিছিয়ে যাবার কোন পথ ও নেই ।
সাক্ষাৎ মৃত্যুকে দেখে অন্তরাত্মা কেঁপে গেল ।
তারপর... প্রমাদ গুনলাম মনে মনে ।
এক... দুই...তিন... কালো পর্দায় যবনিকা ।


কোন এক সহৃদয় চুনিলালের আন্তরিক প্রচেষ্টায়
     মৃত্যু কয়েক পা পিছিয়ে গেল বটে ।
অলক্ষ্যে বাঁকা হাসি রেখে গেল ক্লান্ত চিলের ডানায় ।
বকুলের বুকে বাজে বেহালার অজানা এক করুন সুর।
কালোদীঘির পদ্ম তার পাপড়ি ও মেলে ধরল না।
সেই শরতে শিউলি ও বুঝে গিয়েছিল কবি ফিরবেনা ।
উড়াল দেওয়া পাখির দল সেদিনের মতন শান্ত হোল।
ঘাসের ডগায় শিশির পড়ার মতন রাত্রি নামে কবির চোখে।