তোমার কাছে এলেই
আমার কেমন মাথা ঝুঁকে যায়
নদীর ধারের খেজুর গাছের মতন।
কেন? আমি নিজেই জানিনা।
হয়তো তোমার তরঙ্গ বুকে সাঁতার কাটবার ইচ্ছা ।
স্বছ উদ্ধত বুকে নিবিড় মিশে যাবার ইচ্ছা;
নয়তো গভীর জলে ডুবে মরবার ইচ্ছা ।
সবটায় কেমন যেন গোপনে রয়ে গেছে
এক জন্মের অভিমানী অপেক্ষায়।
কবে আমায় ডেকে নেবে তোমার অন্দরমহলে।


ধানসিঁড়ি বলেছিল,
আমার নাকি ভীষণ রকমের হৃদয় অসুখ।
একমাত্র তুমিই সেই অসুখের ধন্বন্তরি।
বাঁচালে তুমিই বাঁচাতে পারো মারলে তুমিই।
মাঝে মাঝে মনে হয়
তুমি না চেনার ভান করে আছো,
মিটিমিটি মনে মনে হাসছ,
আর আমায় নিছক অবহেলায় রাখছ।


কারা যেন বলছিল,
তুমি নাকি আরও দক্ষিনে গোলপাতার দেশে যাবে।
রূপসা তীর ধরে ধরে দূরে বহুদুরে...
আগমনী গন্ধ ধুপছায়া শাড়ির আঁচলে
বন্দী করে চলে যাচ্ছ। অন্য অনেকের সাথে...
তুমি আমায় কেন ডাকলেনা,
কেন বললেনা চলে এসো...
রেখে গেলে চাতকের মতন চরম তৃষার দীনতায়।
ঝড় বৃষ্টি মাটির কাছে বলে রেখেছি
আগামী বছরে বিলীন হয়ে হারিয়ে যাবো
কোন অসম্ভবের মহাশুন্যতায়।
অভিমানী জন্মচিহ্ন মুছে দিতে সে যেন আর না আসে।