আকাশের মুখ গোমড়া দেখে মন খারাপ অনির্বানের ।
আজ সেই মেয়েটা আবার আসবে
দেবীর সামনে ভক্তিভরে অঞ্জলি দেবে
শাড়িটা থাকবে কাঁচা হলুদ রঙের ।
যাক বাবা ঐতো সূর্যি মামা কথা রেখেছে ।
সে মেয়ে অঞ্জলি শেষে একবার দেখবেই  
হালকা গোলাপী ঠোঁটে মৃদু হাসি রাখবেই  
আমার হৃদপিন্ডটা কাটা মুরগীর মতন হবে ।
এককদম এগিয়ে দুকদম পিছিয়ে আসব ।
গলা শুকিয়ে কাঠ, রাজ্যের তৃষ্ণা পাবে...
যে কথা সারাবছর ধরে বলব ভেবেছি, বলা হবেনা ।


আজ সেই কথা বলবার সময় হয়েছে...
ওই যে আসছে... আসছে ...
পৃথিবী কাঁপছ... গ্রহ তারা নক্ষত্র দুলছে ...
এখুনি যেন এখানে মহাপ্রলয় ঘটবে...
সেই হলুদবরণীকে প্রস্তাব দেব,  তুমি আমার হবে ।
ঘন্টা বাজে... মন্ত্র  পাঠ চলে... অঞ্জলি শেষ ...
এবার সেই সময় উপস্থিত ... আমায় দেখবে মেয়ে
না তেমন কিছু ঘটলো না ...
কি একটা ছকভাঙ্গা ছন্দ শুরু হয়ে গেল ।
এগিয়ে এসে সেই হলুদবরণী বলে -
আমি অনন্যা যে কথা বলতে পারছনা,
এসো হাত ধরো, আমি তোমায় শিখিয়ে দেব ...