যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উঁচু পাঁচিল বামদিকে রেখে
তীব্রবেগে বাসটা এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে;
অবাস্তব ঝাঁকুনি দিয়ে বাসটা দাঁড়িয়ে গেল;
লন্ডভন্ড আরোহীরা হাঁফ ছাড়ে “ যাক বেঁচে আছি“
চলকে উঠেছে আমারও বুকের হৃদপিন্ড
যাক সে একটু’র জন্য এযাত্রায় বেঁচে গেছে।
শ্বেতবস্ত্র পরিহিতা সেজন নিশ্চিন্তে বসে উঠছেন ;
চাঁদের আকর্ষণে জানতাম জোয়ার আসে,
চম্বুকের দিকে লোহা যেমন ধাবিত হ্য় ;
তেমনি সবার চোখের দৃষ্টি তাঁর দিকে ;
দেবী সরস্বতীর মতন পবিত্র যার মুখশ্রী;
চোখে চোখ পড়তেই বিদ্যুতবেগে চোখ সরাই!
একেবারে জানলা দিয়ে আকাশনীলে একলা চিলে;
রাগ দুঃখ অভিমান মিশিয়ে দিলাম চিলের ডানায়;
আমার যে ওমপুরি’র মতন বসন্তে খাওয়া মুখ।
কতক্ষণ নির্বিকল্প অবস্থায় ছিলাম জানিনা ;
ঝরনার জলতরঙ্গে হাসি ছড়িয়ে সে বলছে-
চলুন এবার আমাদের দুজনকেই নামতে হবে;