ছোটবেলা নাড়ি ছেঁড়ার মতন ফেলে এসেছিলাম দেশ-বাড়ি
ঘিঞ্জি শহর ভালো লাগতনা। প্রায়শঃ হাফিয়ে উঠতাম ...
ভাবতাম বৃষ্টির শেষে আকাশ পরিস্কার হলে দেবীর আগমনী।
পূজা এলেই বাবা মাএর হাত ধরে ট্রেনে বাসে দেশ-বাড়ি।
গাছে পাতায় আকাশে বাতাসে লেগে থাকত শৈশব রঙ।
দূর থেকে ভেসে আসত ঘোষ বাড়ির পূজার ঢাক ।
এক ছুটে চলে আসতাম ধূপ ধুনা কাঁসর ঘণ্টায় আরতি দেখতে।
তারপর একে একে দিন কোথা দিয়ে পালিয়ে যেত জানিনা।
কাদাখেলা, ধুনুচি-নাচ ঢাকের লড়াই, সিন্দুর খেলা
বরণ ডালার আয়নায় মায়ের কান্না মুখ, শেষে দেবীর ভাসান।
ভাসান হত নদীর জলে কত নৌকাতে হত বাইচ খেলা
অবশেষে মণ্ডপে সন্ধ্যাবেলা মৃদু আলোয় মনখারাপের পালা।
আনন্দ রঙ তবুও লেগে থাকত বিজয়ার মিষ্টি আলিঙ্গনে।
এই ছিল শিশু কিশোরবেলার পূজার মিষ্টি স্মৃতি কথা।