দুর্দান্ত একটা মিষ্টি কবিতার মতন মন
ঠিক সদ্য ফোটা ফুলের মতন;
যেন এখনি আদর করতে সাধ হয়
হয়তো ওর বুকে ও নদী আছে
এখন হয়তো ঝোরা বা ঝর্ণা
নতুন চলার দৃষ্টিতে সব কেমন সুন্দর
এগিয়ে চলা ছোট বড় নুড়ি পাথর
ডিঙিয়ে মাড়িয়ে এগিয়ে চলা
যখন যেমন ইচ্ছার মতন যেদিকে খুশি।
কোথাও একটু থমকে পাখীর ডাক শোনে
কোথাও গভীর খাত বা খাদান
ঝাঁপ দিয়ে লাফ দিয়ে অতিক্রম করা
সুদূরের ডাক শুনে অজানা অচেনা পথ হাঁটা।
পিছনে মায়ের ডাক উপেক্ষা করা নির্ভয়ে।


কিন্তু কোথায় সে যাবে কোথায় যেতে হয়
কে যেন শুধু ডাকে তাকে আয় আয় চলে আয়।


একদিন বৃষ্টি এসে চমকে দিয়ে হাত ধরে বলেছিল
আমার বন্ধু হবি হলে অনেকদুর নিয়ে যাবো।
সাগ্রহে হাত দুহাত বাড়িয়ে দিল
জীবনে যেন ওর জোয়ার এলো।
দুরদারিয়ে এগিয়ে গেল কে জানে কতদূরে
নিজেকে সে যেন আর চিনতে পারেনা
সবায় যে এখন ওকে নদী বলে ডাকে
শঙ্খ বাজায় উলু দেয় সকাল সন্ধ্যে বরন করে।


একদিন ঝড় এসে ওর বন্ধু হোল
ভীষণ ভাবে নাগরদোলায় দুলিয়ে দিয়ে গেল;
সবুজ অরণ্য বলেছিল
নদী যদি পারো আমায় একটু ছুঁয়ে যেও
করতোয়া সে নদী দুদণ্ড তাঁর সাথে
দিন রাত্রি যাত্রা পথের গপ্পো করেছিল।
তারপরে কি মনে করে সে বলে ফেলল
আমি চলি কে যেন ভিতর থেকে বারে বারে ডাকে।
নীলবর্ণ তাঁর শরীর আকাশের সাথে বড় মিল
বারে বারে স্বপ্নে যেন ওকে ছুঁতে চায়।
সর্পিল গতিতে এগিয়ে গেল
দখিন দেশের দিকে
নিমেষে হারিয়ে গেল চোখের সমুখ থেকে।