কবিকে খুঁজছে সকলে
গভীর রাত্রি থেকে হয়ে গেছে নিরুদ্দেশ
সম্পূর্ণ একটা কবি
এমনি করে কি হারিয়ে যেতে পারে!
কর্পূর বিলীন হয়ে যায় সুবাসটুকু রেখে
কবি রেখে গেছে মানপত্র উত্তরীয়
অ আ ক খ এর মতন সাজানো পদক গুচ্ছ।
কিন্ত কবি কোথায়?
নেই নেই নেই  
কোত্থাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।


কবি সেদিন ফুরিয়ে গেছে
যেদিন কবির ঋজু মেরুদণ্ড বিক্রি হয়ে গেল।
রজনীগন্ধার গন্ধে রঙিন উত্তরীয়তে
প্রদীপের প্রদীপ্ত আলোয় উদ্দীপ্ত হয়েছিল মুখ।
মুহুর্মুহুর করতালির ঢেউয়ে সমুদ্র হয়েছিল উত্তাল।
ঠিক তখনই চকচক করে উঠলো হাতের পদকখানি
সে যেন নিমেষে তরবারির মতন ঝলসে উঠে
কবির হৃদয় করে দিল দ্বিখণ্ডিত।
টকটকে লাল হৃদয়ের রক্তে রঞ্জিত হল তাঁর পোশাক।
কবির জন্য আনা হোল শ্বেত শুভ্র বস্ত্র
কবি এখন কড়া পাহারায় নিশ্চিত নিরপত্তার ঘেরাটোপে
ভুগে ভুগে চলেছে আশ্চর্য রক্ত শুন্যতায় ।


কবিকে আর আকৃষ্ট করেনা
উদয় অস্ত খেটে খাওয়া কোন মাটি ছোঁয়া মানুষ।
গরম ভাতের গন্ধে সে আর আনন্দ পায়না
কচুরপানায় অর্ধনগ্ন ধর্ষিত কিশোরীর জন্য
প্রখর রোদে পুড়ে যাওয়া অধিকার বঞ্চিতদের জন্য
কোন অক্ষর আজ আর তার অভিধানে নেই।
কবি এখন নির্বাক!
ঠিক যেন একটা পাপেট।