একরাশ ভাঙ্গাচোরা জঞ্জালে হটাত দেখা পেলাম
       সেই হাত ভাঙা খেলনা মাটির পুতুল।
যেটা নিজে হাতে তৈরী করে তিন্নিকে দিয়েছিলাম
       তিন্নি জলতরঙ্গের মত হেসে উঠেছিল।
কাছে এসে জড়িয়ে ধরে বলেছিল-তুই খুব ভালো
      মুহুর্তে আমি ভ্যাবলাকান্ত রাখাল বালক।
তিন্নি পুতুলটাকে সাজায় এক্কেবারে বরের বেশে
       পাগড়ি নাগড়াই হাতে ঘোড়ার লাগাম।
মুগ্ধ হয়ে দেখি,শরীরে অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ লাগে
        আমাকেই দেখি আমি রাজপুত্র বেশে ।
তিন্নিও যেন রূপকথার রাজকুমারী, মেঘ রাজার দেশে
        আমাকে ডেকে চলেছে বৃষ্টির সুরে ।
পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চলেছি মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে
        ভীষন বজ্রহুঙ্কারে ততক্ষনাত মাটিতে।
আমার সাথে খেলা বারণ, মা নিয়ে যায় জোর করে
        ভেঙে দিয়ে গেল পুতুল খেলার বাসর।
তখন ঝাপসা হয়ে বৃষ্টি নেমেছিল এপারে ওপারে
        তিন্নি চলে গেল পিছন পানে চেয়ে।
কতদিনের কথা ভাঙ্গা পুতুল প্রশ্ন করে - সে কোথায়?
        কে তিন্নি! জানিনা আজ সে কোথায় !