কবিতারা বদ্ধ ঘরে একে একে যায় মরে
ওদের আলোয় আর আসা হয়না।
নীল আকাশ দিগন্তের শোভা দেখা হয়নি
বুকের খাঁচায় দপদপ করেছে দুর্বল হৃদপিণ্ড।
নিস্প্রভ একটা সকাল দেখে দেখে ক্লান্ত
আলিবাবা চল্লিশ চোরের শুধু আনাগোনা।
ওদের বর্শার খোঁচায় মরে গেছে কত কবিতা;
স্বপ্নের মতন গল্পের মতন সবুজ ধানের মতন
সবুজ ঘাসে শিশির দেখার মতন সব কবিতা।
অন্ধকার বদ্ধঘরে কুড়ে কুড়ে খায়
নিজেদের হাত আর পা মাস কলিজা...
ওই কবিতায় কারো কারো সিঁড়ি ছিল;
তরতর করে উঠে গিয়েছিল সোনার সিংহাসনে।
তারপর আর ওদের পিছু ফিরে দেখা হয়না।
নিতান্ত অবহেলায় পড়ে থাকে যেন নির্জন রাস্তা।
অথচ ইচ্ছা করলেই আগুন হয়ে জ্বলতে পারত,
বৃষ্টি হয়ে আদিগন্ত ভাসিয়ে দিতে পারত,
সুনামি হয়ে সব বজ্জাতি ঘুচিয়ে দিতে পারত,
কয়েকজনের বেসামাল আয়েশ নেভানো যেত।
তবু ওরা একমুঠো ভিক্ষের অন্নে তুষ্ট থাকবে বলে
নাচে হাসে কাঁদে পুতুলের মতন বেঁচে থাকে।