এ কোথায় এসে গেছি
চেনা অচেনার মাঝখানে আমার অবস্থান
জানা অজানা অস্ফুট শব্দগুলো লুকোচুরি খেলছে
যদিও জানি তুমি আমায় ডাক দাওনি
দেওয়ার কথাও জোর দিয়ে বলতে পারবনা
সে রাস্তা যে বন্ধ করেছি নিজেই ।


এই মুহুর্তে নিজেকে আবিস্কার করছি ।
যেন জল থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছে আমাদের শহর  
এইতো আমাদের সেই ধুলো খেলাঘর
ওইতো প্রায় জল ফুরিয়ে যাওয়া নদীর সাঁকো
ঐটা পেড়িয়ে তুমি আসছ নিবিড় হতে  ...
আর দুরে নীল আকাশটা কালো হয়ে যায় ;
কারণ, কয়লার ইঞ্জিন রেলগাড়িটা  
ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে শহরে ফিরে যাচ্ছে ।


আমার মুখে তুমি বনলতা খুঁজে বেড়াও
আমি ও নিজের অনুভুতিতে খুঁজে নিচ্ছি  
উদভ্রান্ত নাবিকের চোখে সুবজের ঠিকানা ।
একটা দোয়েল যেন লেজ দুলিয়ে শিস দেয় ।
আমি তখন... একটা মাঝির ভাটিয়ালি গান শুনি।
টুপ করে ফুল ফোটার মতন সন্ধ্যাতারা
দেখা দিলেই যে যার পথে।
তবু বারে বারে পিছন ফিরে দেখা ।


তবে এমনটা একদিন হলনা
সেদিন বনলতা দোয়েল, নাবিক দেখতে পায়নি।
আশ্চর্য ! মাঝির ভাটিয়ালি ও শুনতে পেলনা ।
বনলতা বুকে অমাবস্যা নিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ছিল ।
যদিও জানি তুমি ডাক দাওনি
তথাপি মনকেও বারণ করেনি ।