বাজের আগুনে ফোকলা গাছের গুঁড়ি
তবু সে কি জানি!
কি! কেন? কোন আশায়?
আকাশের দিকে হাত বাড়ায় ।
পোড়া শরীরে সবুজের আস্তরন মেখে
পরজীবীদের খাদ্য যুগিয়ে যায় আমরণ।
নিরপত্তার বেষ্টনী গড়ে দিয়ে পাখিকে বলে
-এখানে এসো পাখী, বাসা বাঁধো বেঁধে জুটি।
তোমাদের দেখে দুচোখ আমার জুড়াক।
নিয়ে যাও যত শুকনো ডালপালা
আখার মুখে বাড়িয়ে দাও
গরম ভাতের গন্ধে ক্ষুদা জুড়িয়ে নিও।


এমনি পুরুষ দেখেছি আমি তারে
অস্তাচলের পথে যেতে যেত্‌
কষ্টের মুখ ঢেকে মুখে হাসি রেখে বলে
-আমার জন্য কেউ গোলাপ রেখোনা।
বরং তার কাঁটাগুলো রেখে যেও,
ওদের সাথে আজীবন আমার সখ্যতা।
ওদের মতো চাওয়া না পাওয়ার
নিতান্তই ফুরিয়ে যাওয়া একজনা
তাই ক্লান্ত শ্রান্ত ভীষ্মের মতন
জীবনে রচেছি শরশয্যা।