আজ ওদের ছুটি দিইনি
ধরে এনেছি আমার জলসাঘরে
কাউকে বলেছি আতর মাখিয়ে দে
একজন কে বললাম হলুদ নয় লাল শাড়ি পড়
সুরা ঢেলে দে আমার পানপেয়ালাতে
আর তুই একটা ঠুমরী শুরু কর
এই ঘরের সব আলো জ্বালিয়ে দে
ওদের কারোর মুখে হাসি ছিলনা।


প্রশ্নের কোন জবাব দিলনা ওরা
কেমন যেন মার্বেল মূর্তির মতন হাবভাব
ছুঁয়ে দিলেই যেন ভেঙে পড়বে চুরচুর করে
সাকির মুখে বাঁকা হাসি যেন বড্ড তিতো
ঠুমরী গানে নেশা ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে
চিৎকার করতেই সারেঙ্গি স্তব্ধ গভীর রাতের মতন।
ওদের চোখে জলের টুকরোগুলো জ্বলজ্বল করছে;
সেগুলো মাটিতে পড়বার আগেই
হয়ে উঠছে এক একটা স্ফটিক সম ধারালো ছুরি।
সাপের চেরা জিভের মতন লকলক করছে
আমার দিকে ওরা এগিয়ে আসছে
ক্রমশ... ক্রমশ... ক্রমশ...
রক্ত আর মৃত্যুর গন্ধে হাফিয়ে পড়ছি।
ওরা কোরাসে বলছে কি চাও মুক্তি নাকি মৃত্যু।


নির্বাক স্বরে বলতে চেয়েছিলাম জাহান্নামে যাও তোমরা।