তোমার হাতে ছিল তুলি
কখন যে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি তুমি জাননা
তোমার চোখ জুড়ে অন্য এক জগত...
সে জগতে আমি নেই আছে অন্য কেউ অন্যরা...
ক্যানভাস জুড়ে দুটো লাইন সমান্তরাল বাম থেকে ডান
রঙ আর তুলির কয়েকটা আঁচড় যেন ঝোপঝাড়
তাতে কি অসম্ভব হালকা ভারী চালে ফুটিয়ে তুলছ বনফুল
কি তাদের জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল রঙ
মনে হোল এই বুঝি ওরা সবে ফুটল ;
অল্প বাতাসে কি লাল বনফুল ভরা ডাল দুলে উঠল।
না ভুল ! ওখানে গাঢ় সবুজ রঙের একটা গঙ্গাফড়িং ;
খুঁটিয়ে দেখি, ঘাড় ঘুরিয়ে এদিক ওদিক মেপে নিচ্ছে।
ক্যানভাসের ওপরের অংশ আকাশের নীলে দুরের চিল ।


এতক্ষন খেয়াল করিনি।
সমান্তরাল লাইন দুটো কখন হয়েছে সীমানার কাঁটাতার।
মাঝে মাঝে বাঁশের খুঁটি একের পর এক
রঙের শেড যত কমবেশি হয়েছে ছবি আরও জীবন্ত।
ওকি! বাঁশের উপরে কি চড়ুই বসে পড়ল!
পাখীটা কি সত্যিই ভাবল যে ওটা বাঁশের খুঁটি!
হাঁ তাইতো ! ওর মুখে সেই সবুজ গঙ্গাফড়িংটা ছটফট করছে ।
চড়ুই যেই অন্যমনস্ক হয়েছে গঙ্গাফড়িং পগারপার...
তোমার তুলিতে স্বাধীনতা ...
বার কয়েকের আঁচড়ে পাখীটাও উড়ে গেল নীল আকাশে।
তোমার তুলিতে এখন রঙ ঝরছে প্রেমিকের স্বপ্ন
এতক্ষনে আমার চোখে চোখ পড়েছে।
কতক্ষন... বল কেমন আছো ? সব ভালো?
চোখের ইশারায় বলেদিলাম সব ভাল।