ছোট্ট ছোট্ট টুকরো শব্দগুলো এক একটা যেন গোটা ছবি
একের পর এক রেখে জুড়তে থাকি গোটা ছবির আশায়।
ঐযে শঙ্খের সাথে উলু সাথে কাঁসর ঘণ্টা বেজে শেষ হল
মজুমদার গিন্নির পূজো শেষ লালপাড় শাড়িতে প্রসাদ দেবে।
দুহাতের শক্তিতে দরজা নাবিয়ে দোকান বন্ধ করা হোল
নিমাই বাড়ি যাবে বউ দুপুরের ভাত বেড়ে অপেক্ষা করছে।
দুবার সাইকেলের ঘণ্টী বাজল তার মানে ভিকি আসছে
আয়রন করা জামাকাপড় ফেরত দেবে ছুঁয়ে দেখি উষ্ণতা ।
বাবা অসুস্থ শম্পা দেখতে যাবে বাইকে ওঠামাত্র কুকুরগুলো
অদ্ভুতভাবে ডাকে আজ রোজের মতো খাবার জুটবে তো?
হলুদ কল্কে গাছের নিচে গাড়ি দাঁড়ায় তিনবার হর্ন বাজে
দোতলার জানলা বন্ধ সুগন্ধি ছড়িয়ে মেয়ে গাড়ীতে ওঠে।
উকিলবউ দ্রুতপদে হাওয়াই চপ্পল পড়ে সিঁড়ি দিয়ে নাবে
দেখতে উৎসুক কে সেই ছেলে পায়েল'কে নিতে আসে।
পাশের ফ্লাটে প্রায় চীৎকারে ইংরাজি পড়ানো হয়ে থাকে ।
যখন একটা বাজে তখন রায়বাবু জোরে রেডিও ছাড়ে ।
গরমে জানলায় রাখা বাটির জল খাচ্ছে বুঝি শালিখেরা
ওরা উড়ে যায় আর আসে শব্দটা খুব চেনা ফুড়ুৎ ।
মৃত্যু কেমন করে জানি আসে নিঃশব্দে চুপিসারে ধিরে
কিন্তু মৃত্যুযন্ত্রণায় মৃত্যুপথযাত্রী অনর্গল গোঙাতে থাকে ।
*** কবি দিলিপ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়'কে আমার এই কবিতা উৎসর্গ করলাম ।***