ট্রেন থেকে বাড়ী দু মিনিটের রাস্তা।
অন্ধকার ...আর একটা বাগান পেড়তে হয় ।
হাতঘড়িতে সময় তেমন কিছু নয় ।
তবু সারাদিনের বৃষ্টিতে মনে হচ্ছে রাত নিশুতি।
আলো পথে গেলে একটু সময় লাগবে ।
শর্টকাট নিলাম । নির্জনতায় শরীরটা একটু ভারী।


পিছন থেকে কে যেন বলল - দাদা আগুন হবে?
বাঁহাতে ছাতা ডানহাতে পকেটের লাইটার;
আমি হতবাক! পিছনের দিকে তখন কেউ ছিলনা ।
কপালে ইস্পাত ঠাণ্ডা বন্ধুক ঠেকিয়ে চাপাস্বরে
মুহূর্তে কে বা কারা জাপটে ধরে বলে -
একদম চিৎকার করবিনা, সব দানাগুলো ভরে দেব।
সারা শরীর জুড়ে হিমবাহের স্রোত বয়ে গেল ।
বুঝলাম নিজেকে বাঁচানো এখন কঠিন ব্যাপার।


মনে পড়ল আপনজনের করুণ মুখগুলো
সাদাকাপড়ে মোড়া অবস্থায় আমি আমার উঠানে।
সর্বশক্তি একত্র করে বলার চেষ্টা করলাম
আমায় মারবেন না, আপনারা কি চান ?
একজন বলল - আজই ব্যংকে মাল ঢুকেছে ।
সবটাই আমাদের দিতে হবে বুঝেছিস।
নে এবার বাইকে ওঠ, নো চিল্লামিল্লি ।


আমি বোঝাতে চাইলাম,রাতে ব্যঙ্ক বন্ধ
এ টি এমে সবটাকা আপনারা ও ঠা তে পা...র...
নিমেষে একজন চিৎকারে আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলে ওঠে
এই চোপ... বেশি সেয়ানা... তবে দ্যাখ কি করি...
বিকট একটা শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়।
সম্মুখে তখন নন্দিনী  - কি ! খুব বাজে স্বপ্ন দেখছিলে বুঝি !