ভুলে যাই
ভুলতে ভুলতে কোথায় গিয়ে ঠেকবো জানিনা...
শেওলার মতন ভেসে ভেসে চলেছি।
আর নিত্যি নতুন ভুল করতে করতে চলেছি।
এমনটা হলে বুঝতে পারি
কেউ মুখের দিকে চেয়ে চুপ থাকে কিচ্ছু বলেনা।
কেউ আড়চোখে দেখে বলে ফেলে -ভুল করছেন;
কারোর হাত থেকে ঝনঝন বাসন পড়ে যায়,
বজ্রের মতন কেউ আলো জ্বালিয়ে দেয়
ঠিক তারপরেই আকাশবাণীতে শুনি মহালয়া
ইদানীং প্রায় রোজই শুনি মহিষাসুরমর্দিনী
এভাবে বধ হতে মন্দ লাগেনা...
কিজানি বিকেলের রোদ্দুরে নাকি
অমন একটু আধটু হয়।
ধরে বসে থাকতে নেই।


কিন্তু আটচালার বসন্ত পঞ্চমীতে প্রথম আলাপ
সে কথা দিব্যি মনে আছে একটুও ভুলিনি।
বাসন্তী শাড়ীতে তুমি তখন অপরূপা...
কপালের চুলে মুখ ঢেকে যায় কে তুমি?
বানী বন্দনার সকল অঞ্জলি যেন তোমায় ঘিরে।
তুমিই বলেছিলে -অঞ্জলির ফুল দেবীর চরণে দিন।
তখন বুকের রক্তে বান জেগেছিল
চোখে লেগেছিল তীব্র আলোর ঝিলিক
আহা...কানে যেন শুনেছিলাম মধুর সে গীতি অহরহ।
পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ তখন বড়ই দুর্বোধ্য।
-এইযে শুনছেন অঞ্জলি শেষ।
আমি ফিরে যাই। পড়ে দেখা হবে... মনে থাকবে?


কই সে ঘটনা একটুও ভুল হয়নি
দাড়ি কমা পূর্ণচ্ছেদ বাসন্তী সেই সকাল
ছন্দ বর্ণ সেই চোরা চোখে দেখা চিলতে হাসি।
সেইদিনের ফ্লাসব্যকের পাতাটা ওলটালেই,
সবটা সাদা কালো ছায়াছবির মতন দেখতে পাই।
মনের ভিতর লাল রঙ্গন ফুল ওঠে থরে থরে।
তাহলে সব ভুলই ভুল নয়।