ফুল জানেনা কখন সে কালো ভ্রমর আসবে
গন্ধে বর্ণে তবু ও সে নিজেকে মেলে ধরে
কোন সে রাসায়নিক বিক্রিয়ায়
সেজন জেনে যায়
কেউ বুঝি আছে তারই অপেক্ষায়।
হয়তো নদীর পারে নয়তো সাগর তরঙ্গে
হয়তো কিশলয়ের মাধুরীতে
নয়তো রবির প্রথম আলোর কৌমার্যে
সে যে এক অপূর্ব আনন্দ ধ্বনি
কেবলই থেকে থেকে শুনি আর শুনি।
এক উদাসী দুপুরে পাতার মর্মরে
সে আসে তখন প্রহর থমকে দাঁড়ায়।


জলের উপর মুক্তোর মতন বুদবুদ উঠে আসে
দিগন্ত আকাশ কিছু পলের জন্য ছবি আঁকে
তারপরেই মিলিয়ে যায় কোন সুদূরে
শুধু এটুকুই পাবে বলেই
আকাশগঙ্গা অপেক্ষা করেছিল কয়েক আলোকবর্ষ
গ্রহকনার অণু পরমানু যেমন চেয়েছিল
এই পৃথিবীতে আসুক প্রাণের স্পন্দন
একটু সবুজের জন্য ছিল নীরব ক্রন্দন
আগুনের নীল রশ্মির কাছে প্রার্থনা করেছিল
-আমায় একটু জলের কণা দিতে পারো।
ততবার শুন্য হাতে ফিরেছে সে
আশাহত হয়নি পৃথ্বী অবশেষে পেয়েছিল
তারপর...
সৃষ্টির শিলালিপির কঠিন প্রস্তরে
ইচ্ছাপুরন সঙ্গীর নাম লিখে রেখেছিল।