কি জানি কি হয় শরীরী শব্দগুলো
ভীষণ ভাবে আমায় মাতাল করে তোলে!
শুধু কি আমি! আমিই বা এমন কেন!
শরীর মন মানচিত্র নদী নালা জলপ্রপাত গিরিপথ
পিরামিড পিরনহা জল জঙ্গল প্রাগৈতিহাসিক নির্জনতা
আমায় অজগরের মত গিলে খেতে চায়।
আমার আমিকে আর স্থির রাখতে পারিনা।
আবোল তাবোল হিজিবিজি হজবরল'এর হাতে বন্দী
যা খুশী তাই লিখিয়ে নেয়। তারপর...


তারপর সোনালী তপ্ত বালুকার পথ পেড়িয়ে
চড়ায় উৎরায় গিরিপথ ঝড় ঝঞ্ঝা মাড়িয়ে
প্রচণ্ড জলরাশির জলপ্রপাতের ভিতরে ফেলে দেয়;
দুচোখ বন্ধ অন্ধের কিবা দিন কিবা রাত্রি
বুকের রক্ত শূন্যতায় উদাসীন ডানাভাঙা এক পাখী।
অবশেষে নদীর স্রোতে ভাসতে ভাসতে
সেই বকুল ঝরা গাছের ছায়ায় তোমার দেখা মেলে।


এই তুমি আর সেই তুমি একেই অনেক
কিশোরবেলার কিশোরী যৌবনের ইভ বার্ধক্যের বারানসী
ঠোঁটের কোণে লাল তিলের সেই তিলোত্তমা।
তোমার আমার যতই দুরত্ব ততই দেখি গাঢ়ত্ব
বকুলের গন্ধের মতো তরতাজা ফিরিয়ে দেয় আঠেরোয়।
আশ্চর্য কি যেন তোমার গাঢ় লাল তিলটায়
কাল রাতে ছিল জ্বলন্ত মঙ্গল গ্রহ...
আজ কি করে জানি প্রিয় জামার বোতাম হয়ে গেছো।