একদিন নদী
ঢেউয়ের মতন সুর তুলে বলল
ওহে নারী,কেন তুমি সাঁঝেরবেলা আমার কাছে আসো।
অমন উদাসী নয়নে কেন দূরে চেয়ে থাকো?
ওই যে দূরে পাল তোলা নাও ভেসে যায়,
তোমার কি প্রিয়জন চলে গেল না ফিরে আসে?


সেই নারী
ঝর্ণার কলকল ধ্বনিতে  একনাগাড়ে বলে গেল।
আমাকে কেউ যেন বলেছিল, কবে যেন বলেছিল
সব ভুলে গেছি। শুধু কথাটা মনে রয়ে গেছে।


কি কথা?
সে বলেছিল- নারী তুমি নদীর মতন হও।
তাই আমি তোমার কাছে রোজ শিখতে আসি ।
তোমার ভিতরে কি গুন আছে খুঁজে বেড়াই।
এই যে তুমি চলে যাও জোয়ার ভাঁটায়
কোথায় যাও? কার কাছে যাও? কেমন করে যাও?
যারা তোমায় বাঁধতে চায়;
তাদের কাছে বশ্যতা কেন মেনে নাও?
যারা তোমাকে তিলে তিলে কালিমালিপ্ত করে,
তাদের তুমি দরাজহস্তে শুধু দিয়েই যাও।
দিয়ে যেতে যেতে তুমি ক্লান্ত হয়ে যাওনা!
কি করে সব নিরবে সহ্য কর।


সে নদী
আমি যে জন্ম থেকেই চলি আসমুদ্রহিমাচল।
আমাকে ছাড়া এই নগর সভ্যতা হয়ে যেত বিলিন।
আমায় যে সব দিতে হবে, জন্ম থেকে তাই জেনেছি।
তাই বলি ওহে নারী ও কথা খুব খাঁটি কথা।
"নারী তুমি নদীর মতন হও"