ছেলেটা চলে গেল
কিছু বলে যাবার সময় আর হলোনা
হয়তো কিছু বলার ছিল বলতে পারেনি।
যখন পাশে ছিল কাছে ছিল।
মা বলে ডাকতো বুকটা ভরে যেত।
কখনো কখনো বলতো....
জানো মা খুব ইচ্ছা হয়
দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেখি
মাথার ভিতরে কেন এত যন্ত্রনা।
আচ্ছা মা বলতো...
আমি কি আর কোনদিন ভালো হব না।
আমার যে খুব বাঁচতে ইচ্ছা করে।
তুমি বাবা ভাই বোন বন্ধু মিলে
একসাথে হাসি কান্নায় থাকতে ইচ্ছা করে।
সবাই তো দিব্যি আছে খুব সাধারণভাবে।
আমি কেন অসাধারণ হলাম বলতো!
ডাক্তারবাবুরা বলে উঠতেই পারেনা
আমার সত্যিকারের কি হয়েছে?
আমাকে দেখলেই যেন বিরক্ত হয়
তাহলে কি সত্যিই আমার কিছু হয়নি।
ওরা বলে তুমি বাড়ি যাও
অন্য কোন ডাক্তার দেখাও। মনের!
কিছুতেই বিশ্বাস করে না মা।


যখন জানা গেল তখন সব শেষ।
ভিতর থেকে সব কিছু নষ্ট।
হয়তো বলার অনেক কিছু ছিল।
নির্বাক চোখে জলের ধারা শুকিয়ে গেছে।
জানিনা অজান্তে অপরাধ কিছু হয়েছে।
তাই তিরিশ বসন্তেই বাগান শুকালো।
এতটা স্মৃতি নিয়ে কি করে থাকি বলতো!