না চাইতেই কত কিছু দিয়ে গেছ আড়াল থেকে
আমি ছোট ছিলাম আমি তো তখন কিছুই বুঝিনি।
         ভাবতাম সত্যি বুঝি শান্তা বুড়ো আসে।
         আর উজাড় করে দিয়ে যায় উপহার।
একবার ভেবেছিলাম দেখব সত্যজিতের সোনার কেল্লা
ঠিক দেখি মোজার ভিতর রয়ে গেছে সাধের টিকিট ।
        এত মজা আনন্দেতে আমার দুচোখে জল;  
        অবাক লাগত শান্তা বুড়ো কিভাবে জানত?
একটু বড় হয়েছি মাধ্যমিকে বাধ্য ছেলে হয়েছি;
মাকে বলেছিলাম, সবাই পড়ে সময় ও দেখে।
         পরীক্ষার আগের দিন অভাবনীয় উপহার।
         তুমি পড়িয়ে দিলে বললে এগিয়ে যাও ।
ভালো করে লক্ষ্য করলাম ঠিক পরের দিন
বাবা তোমার ঘড়িটা কোথায়? পড়বেনা ?
         তুমি মুখ আড়াল করে গম্ভীর হয়ে গেলে
         আমার ঘড়িটা দোকানে দিয়েছি সারাতে।
এখন আমি বড় হয়েছি তোমার থেকে শিখেছি
আজ তুমি নেই খুব মনে পড়ে জীবনে চলতে ।
        চেষ্টা করি তোমার মতন উদার আকাশ হতে
        আড়ালে আমিও কাঁদি, বাবাদের যে কাঁদতে নেই ।