নন্দিনী
যদি তুমি থাকতে বসন্ত ফিরে যেতনা ।
ফিরে যেতনা বসন্তদূত, সে কুহু ডাকতো ।
পলাশের বন আগুন রঙে ফাগুন হয়ে জাগতো।
মনের ভিতর স্বপ্নগুলো মুমুর্ষ হয়ে হারিয়ে গেল।
আসে পাশে যত রঙ ছিল সবই এখন বিবর্ণ ।
চাঁদের আলোয় মড়া জোত্স্না যেন কাফন বস্ত্র ।
তোমার চোখের নীল হারিয়ে আকাশ আজ ধূসর ।
আকাশের প্রতিবিম্ব নিয়ে সাগর হয়েছে মলিন।
               অথচ...
                  
নন্দিনী
তুমি থাকলে ঠিক এমনটা হতে পারতনা
কুহুর কলতানে ভরে থাকত গ্রাম নগর ।
পলাশের রঙে বৈরাগী মন হতো উতলা চঞ্চলা ;
মনের স্বপ্নগুলো ঠিক দিশা পেয়ে হতো সফল ।
প্রতিবেশীরা রঙ খুঁজে খুলে নিতো বন্ধ দুয়ার ;
পরবের মহরত হতো  উজল চাঁদের জোত্স্না স্নানে;
তোমার চোখের নীল নিয়ে দিগন্ত হতো নীলাম্বরী ;
প্রতিবিম্বিত বিস্তির্ন সাগর জুড়ে তখন উত্সব লহরী।