ওরে কি  সুমধুর ধ্বনি
বড়ভাই ডাক আজও শুনি
ঐ আমগাছ তলা হতে,
ডাকছো গো বু দিবা-রাতে
শিউরে ওঠে যায় চলে যায়
ঐ নিস্তব্ধ নিরালায়,
খুঁজিগো বুবু তোমায়
আমার সারা বেলায়,
কই, কয় নাতো বু কথা
যাতনাময় নিষ্ঠুর নিরবতা
আমার প্রাণে আজও বুবু
তোমার শূন্যতা।।


ঐ পাষাণ দিঘির কাছে
একটুখানি জল যাচে
ঘটি নিয়ে গিয়েছিলা তুমি
পিপাসা তরে, রৌদ্রময় দুপুরে
ঐ পাষণ্ডের গহীন নীরে,
তোমায় লোকালো কি করে!!
ঐ পাষাণ না দিয়েগো জল
কেমনে করিলো তোমায় তল
কেমনে করিল তোমায় নাশ
কেমনে করিলো মৃত্যু উল্লাস!!


ঐ পাষাণের গহীন জলে
আমিও মগ্ন ছিলাম স্নানে
হয়তো তুমি ভেবে ছিলে বুবু
চিনিয়ে আনবো তোমায়
আমার মাতায় তুলে;
বুবু, ঐ ঘটিখানিই তুলে
কেমনে এলাম গো আমি চলে!!
তাই ঐ পাষাণে সদায় যেন
আমাকেও পাষাণ বলে।


কিছুই তো করিতে পারিনি
এই অবলা আমি;
তাই শুধু ডুকরে কাঁদিরে বুবু
যাতনা কমেনি কখনো তবু
আজও প্রাণ সদা কাঁদে
তোমার করুন মৃত্যু বিষাদে,
তাই ক্ষমা চাইগো বুবু
কান্নাময় আমার কবিতাতে।।