একদা তৃষ্ণার্ত মনে,
            গিয়েছিনু কর্ণফুলীর স্তনে
তৃষ্ণা মিটালো না হায়,
            বলে চিনে না আমায়
দিবা-নিশি দেয় সে জল,
            বঙ্গপোসাগরের পায়।।

শরতের সোনালি প্রাতে,  
                  গিয়েছিনু  চন্দ্রনাথে,
সে অপরূপা গিরিখাতে -
          আফ্রোডাইট কে পূজো দিতে;
কটিতে  দেবীর সবুজের আঁচল,
                       চরনে ঝর্নার জল
পেয়েগো সীতাদের ছায়,
                   সাড়া দেয় নি আমায়
জানালো নির্মম বিদায়-
                 ব্যাকুল  পুজারি  আমায়।।


হালদায় গিয়েছিনু ভোরে,
                   চৌধুরী বাড়ির অদূরে,
তার নির্ভয় হিয়ায়,
           দিয়েছে গো রূপালিদের ঠাঁই
দেখার সময় ওর নাই-
                 অনিকেত আমায়!
কি দুর্বার তার গতি,
                 বুঝি নাই রে  বিরতি;
সেও ভাবে নি আমায়,
                 আমি যে তার অতিথি।।


হেঁটেছিনু ভাটিয়ারির বাঁকা পথে,
              চেয়েছিনু তারি  সখা হতে;
হৃদয় গহিনে তার দিলো না ঠাঁই,
            জড়ালো না সবুজের মায়ায়,
সেও চায় নি আমায়-
            ক্লান্ত হিয়া জুড়ায় তারি ছায়;


গূধুলি লগনে উদাসি মনে,
                 গিয়েছিনু পারকীর দ্বারে
কি যে তর্জনে গর্জনে-
          রক্তিমা মুখে শাঁসালো আমারে,
বিধবংসী ঝড়ো হাওয়ায়-
                  তাড়ালো ব্যাকুল আমায়
ছলছল চোখে, ফিরেছি দুখে,
                     দেখে দেখে তারি মুখ;
আমি সারা বাংলায় ঘু্রিয়া বেড়াই
                   খুঁজে গো আপনার মনসুখ।